বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (Bodhyavumi Smritisoudho),গোপালগঞ্জ: একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানোই ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের মূল লক্ষ্য। ওই সময় (তৎকালীন মহকুমা) গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় জ¦ালাও-পোড়াওয়ের পাশাপাশি চালানো হয় গণহত্যা। জেলা সদরের সে সময়ের সিও অফিস বর্তমান সদর উপজেলা ভবনসংলগ্ন ওহাব আদর্শ স্কুলের জরাজীর্ণ বিশাল ভবনটি ছিল পাক বাহিনীর টর্চারসেল। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজাকারদের সহায়তায় নিরীহ বাঙালি নারী-পুরুষ ও স্বাধীনতাকামী মানুযকে ধরে এনে এখানে চালানো হতো অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতন। পরে হত্যা করে ফেলে দেওয়া হতো পাশের মজা পুকুরটিতে। এটি ছিল গোপালগঞ্জে পাক হানাদারদের প্রধান আস্তানা। জেলা সদরে এটি একাত্তরের বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত।
কিভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ – ঢাকা থেকে সারসরি বাসে টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। বাসের রয়েছে দুটি রুট। একটি গাবতলী থেকে পাটুরিয়া হয়ে, অপরটি গুলিস্তান থেকে মাওয়া ঘাট পাড় হয়ে। গাবতলী থেকে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার। গোল্ডেন লাইন, সেবা গ্রিন লাইন, কমফোর্ট লাইন নামের বাসে টুঙ্গিপাড়া যেতে সময় লাগে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর বাস পাওয়া যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩৫০ টাকা।
গুলিস্তান থেকে টুঙ্গিপাড়ার দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। এ পথে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, সেবা গ্রিস লাইন ও মধুমতী পরিবহনের বাসে চড়ে টুঙ্গিপাড়া যাওয়া যায়। প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর বাস পাওয়া যাবে। ভাড়া প্রতিজন ৩০০ টাকা।
গোপালগঞ্জ জেলা শহর থেকে রিক্সা যোগে বধ্য ভূমি স্মৃতিসৌধে যওয়া যায়।