ফুকেট (Phuket)ঃ থাইল্যান্ডের শীর্ষ পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে একটি পশ্চিম উপকূলের ফুকেট। এটি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত সমুদ্র সৈকত, যা সারা বিশ্বের পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়। ফুকেটের নির্মল পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন জলরাশি এই স্থানের প্রধান আকর্ষণ। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক (Bangkok) থেকে প্রায় ৮৪৫ কিলো দূরে স্বপ্নের শহর ফুকেট (Phuket) অবস্থিত। এই শহর যেন বিনোদনের সকল পসরা সাজিয়ে রেখেছে এখানে আসা সকল পর্যটকদের জন্য। সমুদ্রের নীলাভ পানির হাতছানির সাথে আছে নানা ধরনের দুঃসাহসিক অভিযান যার অভিজ্ঞতা জীবনে একবার হলেও নেওয়া উচিত। আর পর্যটকরা তাই যেকোনো ছুটিতে ঘুরে আসতে পছন্দ করে এই স্বপ্নের শহর ফুকেট থেকে।
ফুকেটের দর্শনীয় স্থানঃ থাইল্যান্ড এর ফুকেটের পুরো শহর জুড়ে আছে দেখার মতো অসংখ্য জায়গা। আছে বেশ কিছু সুন্দর বীচ যার স্বচ্ছ পানি আর মনোরম পরিবেশ মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে যে কাউকে। এমনই কিছু সুন্দর জায়গা পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সুবিধার্থে নিচে তুলে ধরা হল-
ফুকেট বীচ (Phuket Beach) : ফুকেটের সবচেয়ে বড় সৈকত গুলোর একটি হল ফুকেট বীচ। সমুদ্রের পরিষ্কার স্বচ্ছ পানির সাথে রৌদ্রজ্জ্বল চিকচিক করা বালুএক অন্য রকম মায়াবি পরিবেশ তৈরি করে। এখানে নানা ধরনের জল খেলায় মেতে উঠতে পারবেন। যেমন- সান বাথ, স্নোরকেলিং, সাঁতার, জেট স্কাইং, হবি ক্যাট সেইলিং , প্যারাসেলিং এবং বানানা বোট। প্রতিটি রাইডের জন্য জনপ্রতি খরচ আলাদা।।
কারন ভিউ পয়েন্ট (Karon View point) : নই হার্ন এবং কাটা নই বীচের মধ্যে অবস্থিত এই কারন ভিউ পয়েন্ট ফুকেতের জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এখান থেকে কাটা নই,কাটা ইয়াই ও কারন সহ তিনটি বীচের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য একটি পছন্দের জায়গা হল এই কারন ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে আন্দামান সাগরের অপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।
কোহ পানইয়ী (Koho Paniee) : থাই গ্রামীণ জীবনের আমেজ পেতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন এই ছোট্ট ঐতিহ্যবাহী গ্রাম থেকে। পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণের জায়গা এই থাই গ্রাম। তবে সময় নিয়ে সকাল সকাল যেতে হবে এই গ্রামে তাহলে প্রকৃত মজা পাবেন।
ফি ফি আইল্যান্ড : ফিফি ডন ও ফিফি লে মিলে এই আইল্যান্ড। এখানকার চারপাশের মনোরম পরিবেশ যেকোনো পর্যটকদের জন্য মনোমুগ্ধকর । যেকেউ এখানে গেলে এর নীলচে সবুজ পানির সৌন্দর্যে হারিয়ে যাবে।ফুকেট থেকে প্রতিদিন ক্রুজ চলাচল করে এই আইল্যান্ডে। তাই এখানে যেতে কোনও সমস্যা না হলেও এখানে থাকার জায়গা বেশ কম। এখানে স্নোরকেলিং, সার্ফিং, ডাইভিং ইন শার্ক পয়েন্ট, এনেমনে রীফ এবং কিং ক্রুইসার রিফের মতো কিছু এক্সাইটিং ও রোমাঞ্চকর রাইডের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
জেমস বন্ড আইল্যান্ড ( James Bond Island) : ফাং এনগা পার্কের পাশে এই আইল্যান্ড অবস্থিত। জেমস বন্ড মুভির কিছু দৃশ্যের শুটিং এখানে করায় এর নামকরন করা হয় জেমস বন্ড আইল্যান্ড। এখানেসাঁতার কাটার সাথে সাথে কায়াকিং, সেইলিং করার মতো মজা করতে পারবেন।
রাং হিল (Rang Hill) : ফুকেটের উত্তর দিকে অবস্থিত এই রাং হিল থেকে পুরো আইল্যান্ডের সৌন্দর্য দেখা যায়। এখানে বাচ্চাদের খেলার জন্য পার্ক, কিছু রেস্টুরেন্ট, বার , ফিটনেস জোন ও একটি আকর্ষণীয় চত্বর আছে।
বিগ বুদ্ধ (Big Buddha) : ফুকেটের একটি উল্লেখযোগ্য মাইল ফলক হল এই বৌদ্ধ মূর্তি। এই বিশাল বৌদ্ধ মূর্তি সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি । এখান থেকে ফুকেট শহর ও তার আসে পাশের উপসাগর দেখার সাথে সাথে বিগ বৌদ্ধের ইতিহাস সম্বেলিত জাদুঘরও ঘুরে আসতে পারবেন। বড়দের জন্য এখানে প্রবেশ ফি ৫৫০ বাথ আর ছোটদের জন্য ২৭৫ বাথ।
ওয়াট চালং (Wat Chalong) : ফুকেটের সবচেয়ে প্রাচীনতম ও প্রধান মন্দির হল এই ওয়াট চালং মন্দির। এখানে পোহ থান জাও এবং ননসি এই দুটো সোনালি রঙের বৌদ্ধ মূর্তি পর্যটকদের জন্য বেশ আকর্ষণীয়।
ফান্টাসিয়া (Fantasea) : ফুকেটের নানা ধরনের সাংস্কৃতিক শো এর মধ্যে ফান্টাসিয়া বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। মূলত একটি বিশাল বড় সাংস্কৃতিক প্রাঙ্গনে বিভিন্ন ধরনের শো হয়ে থাকে আর এই সবগুলো শো একসাথে কিংডম ফান্টাসি নামে পরিচিত। এখানে নানা ধরনের মজার খেলা, দুঃসাহসিক রাইড ও থিম নির্ভর গ্রাম ঘুরে দেখতে পারবেন। রাতের বেলায় এখানে নানা ধরনের শো দেখার সাথে সাথে বুফে রেস্টুরেন্টে খাবারের ও ব্যবস্থা আছে।
বাংলা রোড (Soi Bangla) : ফুকেটের রাতের শহর দেখতে হলে এখানে অবশ্যই যেতে হবে। সূর্যাস্তের পর পরই এই রাস্তায় অন্য রকম এক আবহ তৈরি হয়। নিয়ন আলোয় চারপাশ ঝলমলে আর হৈ হুল্লোড়ে পরিপূর্ণ রাতের এই রাস্তা। এখানকার ডি ক্লাব , মানি নাইট ও মউলিন রউগ এর মতো ক্লাবে যেতে পারেন। তবে এখানে বাচ্চাদের নিয়ে না যাওয়াই ভালো।
ফাং নং বে (Phang Nga Bay) : ফুকেটের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা গুলোর মধ্যে অন্যতম এই জায়গা। প্রায় ৪০টি ছোট ছোট দ্বীপের উৎস এই উপ সাগর তাই এক দিনে এই পুরো জায়গা ঘুরে দেখা আসলে সম্ভব না। চারপাশের গুহা ও ম্যানগ্রোভ পরিবেশ এক অন্য রকম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে এই উপসাগরে।
ফুকেট ট্রিকেয়ে জাদুঘর (Phuket Trickeye Museum) : ফুকেটের মধ্যে অন্যতম একটি জাদুঘর যা পর্যটকদের সৃজনশীলতা ও কল্পনা শক্তিকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলে। এখানে আসলে পর্যটকরা থাইল্যান্ডের শিল্পের সাথে নতুন ভাবে পরিচিত হবে।
ফুকেট এ্যাকুরিয়াম ( Phuket Aquarium) : আপনি যদি পানির নিচের জলজ প্রানিদের সৌন্দর্য দেখতে চান তাহলে অবশ্যই এই এ্যাকুরিয়াম থেকে ঘুরে আসতে হবে। এই এ্যাকুরিয়ামে পর্যটকরা বড় একটি সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আসে পাশে বিভিন্ন জলীয় প্রানিদের বিচরণ দেখতে পারে যা এক ভিন্ন ধরনের ভালো লাগার অনুভূতি দিবে।
জুই তুই উপাসানালয়( JuiTui Shrine) : ফুকেট শহরের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এই উপাসনালয়। এখানে তিনটি মূর্তি আছে যা ভিন্ন ভিন্ন চীনা দেবতার প্রতিরূপ। আর বিভিন্ন উৎসবে এখানে পটকা ফোটানো হয়।
লা মোয়েট ডে ক্রুজ (La Moet Day Cruise) : ফুকেটের ব্যস্ত শহর থেকে একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে ও সমুদ্রের চারপাশের মনোরম দৃশ্য দেখতে চাইলে এই ক্রুজের মাধ্যমে ঘুরে আসতে পারেনপ্রশান্ত মহা সাগরের মাঝ দিয়ে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে এই ক্রুজ চলাচল শুরু করে।
এছাড়াও যেতে পারেন ফুকেট ওল্ড টাউন, কাটা নই বীচ ( Kata Noi Beach), কো মাই তোন ( Koh Mai Ton) যা হানিমুন আইল্যান্ড হিসেবে পরিচিত, রায়া আইল্যান্ড , নাই হার্ন বীচ, সুরিন বীচ, খাও রাং ভিউ পয়েন্ট, চালং বে রাম ডিসটিলেরি (এখানে হোয়াট রাম ও ককটেল প্রোডাকশন দেখতে পারবেন)।আবার দেখতে পারেন সিমন ক্যাবারেটের মতো শো।
ফুকেট যাওয়ার উপায়ঃ ব্যাংকক থেকে ট্রেনে , বাসে বা বিমানে ফুকেটে যাওয়া যায়। তবে ট্রেনে গেলে সময় বেশী লাগবে। আবার কম সময়ে একটু বেশী টাকা খরচ করতে চাইলে বিমানেও যেতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে ব্যাংককের সূবর্নভূমি বিমান বন্দর থেকে দেড় ঘণ্টার সফর শেষ করে ফুকেটে যেতে হবে।আরা বাসের ক্ষেত্রে, ব্যাংককের সাউদার্ন বাস স্টেশন থেকে ভিআইপি ডিলাক্স বাসে ফুকেট যেতে পারেন, সময় লাগবে ১১-১২ ঘণ্টা।
কোথায় থাকবেন (হোটেল ও রিসোর্ট)ঃ ফুকেটে বীচ গুলোর আসে পাশে অনেক হোটেল রয়েছে থাকার জন্য। যেমন- রাং হিল রেসিডেন্স, আলামান্দা লাগুনা ফুকেট, ফোনিক্স গ্র্যান্ড হোটেল, তাই পান ভিলেজ, মাস্ট সি হোটেল, বাংথাও ভিলেজ রিসোর্ট, প্যারিপাস পাতং রিসোর্ট এর মতো হোটেল ও রিসোর্ট গুলোতে ১২০০-২৫০০ টাকার মধ্যে দুই জনের জন্য ভালো রুম পেয়ে যাবেন । তবে কয়েকজন মিলে থাকলে আর একটু দামাদামি করলে খরচ আরও একটু কম হবে। আবার ফিফি আইল্যান্ডেও থাকার জন্য অল্প খরচের মধ্যে বেশ কিছু রিসোর্ট আছে।
ফুকেট ভ্রমণ খরচঃ ফুকেটের সবজায়গাই আসলে একটু ব্যয়বহুল কারন প্রায় সবগুলো বীচেই নানা ধরনের ওয়াটার রাইড আছে, যার জন্য জনপ্রতি খরচ আলাদা। আবার কিছু প্যাকেজ ও আছে কয়েকটা রাইড মিলিয়ে। আর কেউ যদি ক্রুজে ঘুরতে চায় তাহলে বাড়তি একটা খরচের ব্যাপার আছে। তাই মূলত হাতে কিছু টাকা নিয়ে গেলে ভালো ভাবে ঘুরে আসা যাবে ফুকেট থেকে আর ভ্রমণের আনন্দ পরিপূর্ণ হবে। আনুমানিকভাবে, ঢাকা থেকে ফুকেট ভ্রমণে বিমানের রিটার্ন টিকেট, বিভিন্ন ধরনের রাইড ও ক্রুজে ভ্রমণ করলে জন প্রতি ৫০,০০০-৫৬,০০০ টাকা খরচ হবে। আর গ্রুপে গেলে হোটেল রুম, যাতায়াতের খরচ শেয়ার করলে খরচ আরও একটু কম হবে। আর ব্যক্তিগত খরচ অবশ্যই আলাদা।
কি খাবেন ও কোথায় খাবেনঃ কোন পানইয়ে তে পাবেন জিবে জল আনা বেশ কিছু মজার খাবার। আবার, রাং হিলের তুংকা ক্যাফে ও ফুকেট ভিউ রেস্টুরেন্ট এর খাবারও ভালো লাগার মতো। ফ্যান্টাসিয়া শো দেখতে গেলে অবশ্যই ভিতরে গোল্ডেন কেনমারে বুফে ও সুরিয়ামাস সি ফুড বুফে রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে দেখবেন। আর স্থানীয় ভিন্নধর্মী খাবারের মধ্যে টম ইয়াম গুং ( ঝাল চিংড়ি ও টক স্যুপের মিশ্রন), মি হক্কি নুডুলস , মাসামান কারি ( নারিকেলের দুধ, লেবুর রস, লেবু পাতা, পুদিনা ,বাদাম ও টমেটো দিয়ে তৈরি এক ধরনের তরকারী), ডিম সাম, গ্রীন কারি চিকেন, কানন জেন ফুকেট ( ফুকেটের এক ধরনের বিশেষ স্যুপ),খাও মান গাই ( চিকেন রাইস), সাতে ও রুটি প্যান কেক খেয়ে দেখতে পারেন।
কেনাকাটাঃ বীচের সাথে রয়েছে কেনাকাটা করার জন্য অনেক দোকান। তবে এখানে দাম অনেক বেশী তাই দামাদামি করে কিনতে হবে। আর শহরের মধ্যে আছে জাংসিলন, সেন্ট্রাল ফেস্টিভ্যাল ফুকেট (এখানে ব্রান্ডের জিনিস ভালো পাওয়া যায়), বোট এ্যাভিনিউ, বানানা ওয়াল্ক (এখানে একটি সুপার মার্কেট আছে যা কসমেটিক্স কেনার জন্য ভালো), জিম থম্পসন (এখানে সিল্কের ভালো কাপড় পাওয়া যায়), ফুকেট ওল্ড টাউন হ্যান্ডইক্র্যাফটস শপ (এখানে থাইল্যান্ডের স্থানীয়দের হাতে বানানো সুতি ও সিল্কের কাপড় পাওয়া যায় ), কারন বাজার, ফুকেট ওয়াকিং স্ট্রীট (এখানে ছোট ছোট নানা ধরনের উপহার সামগ্রী কিনতে পারবেন)।
ফুকেটে ভ্রমণ টিপসঃ
- বীচ গুলোতে বিভিন্ন রাইডে উঠার জন্য বেশ কিছু প্যাকেজ আছে। কোনো প্যাকেজে সুবিধা বেশী আবার কম, মূলত টাকা কম বেশীর সাথে সুবিধাও কম বেশী হয়। তাই ভালো ভাবে বুঝে প্যাকেজ গুলো পছন্দ করবেন, আবার চাইলে নিজের পছন্দ ও সুবিধা মতো প্যাকেজও তৈরি করে নেওয়া যায়, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই দামাদামি করে নিবেন।
- নিজের শারীরিক বা অন্য কোনও সমস্যা (যেমন শ্বাসকষ্ট, হাইট ফোবিয়া, হাইড্রো ফোবিয়া) থাকলে অবশ্যই রাইডে উঠার আগে তা ইন্সট্রাক্টরকে জানাবেন আর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
- অফ সিজনে মানে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ছুটি অথবা সামার ভ্যাকেশন এই সময় গুলো এড়িয়ে ফুকেটে যাওয়ার চেষ্টা করুন তাতে খরচ কম পড়বে।
- ব্যাংকক থেকে ফুকেটে বাসে গেলে যাতায়াত খরচ অর্ধেকের মতো কমে যাবে। আবার ভ্রমণের তারিখ ফিক্সড থাকলে ব্যাংকক থেকে ফুকেটে বিমানে যেতে পারেন বাসের চেয়েও কম খরচে, সেই ক্ষেত্রে বেশ কিছু দিন আগেই বিমানের টিকেট কাটতে হবে তবে সাথের লাগেজের সংখ্যা অবশ্যই কম হতে হবে।
- ফি ফি আইল্যান্ডে অবশ্যই এক রাত থাকার চেষ্টা করবেন তাহলে ভালো ভাবে পুরো আইল্যান্ড ঘুরে দেখতে পারবেন আর ফেরার সময়, থাইল্যান্ডের ক্রাবি হয়ে ফেরত আসলে ভালো হবে।
- ফিফি আইল্যান্ড ঘোরার জন্য বোট ভাড়া করা ভালো তাতে ৯টা বীচ একসাথে ঘুরতে সুবিধা হবে।
- ফুকেটে সিটি ট্যুর বেশ প্রচলিত। জনপ্রতি ১০০০ থেকে ১৫০০ বাথের মধ্যে পুরো শহরের নানা দর্শনীয় জায়গা ঘুরে দেখা যাবে কার ভাড়া করে।
- ফুকেটের সমুদ্রের পাড়ে রোদের তাপ অনেক বেশী থাকে তাই অবশ্যই সানগ্লাস ও সানস্ক্রিম ব্যবহার করবেন।
- থাইল্যান্ডের ফুকেট বেশ পরিচ্ছন্ন শহর যা ওদের বীচ গুলো দেখলেই বুঝা যায়। তাই ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন।