নিকলী হাওর কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য। বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে অবস্থিত এটি। হাওর অঞ্চলে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশ। আর হাওরের মাছ আর সৌন্দর্য্যে বাঙালী সর্বদাই মুগ্ধ।
তিন উপজেলা জুড়ে রয়েছে নিকলী হাওর এর বিস্তৃতি
মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, ইটনা এই তিন উপজেলা জুড়ে রয়েছে নিকলী হাওরের বিস্তৃতি। এটি রাজধানী ঢাকা থেকে ১১০কি.মি. দূরে অবস্থিত। পানিতে দ্বীপের মত ভেসে থাকা ছোট ছোট গ্রাম, জেলেদের হাওরের মাছ ধরার দৃশ্য, সেই মাছ সাথে সাথেই ভেজে কিংবা রান্না করে খাওয়ার তৃপ্তি, স্বচ্ছ জলের খেলা এই সব কিছু আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মিঠাপানির জলাভূমি ও জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র এই নিকলী হাওর । ঢাকার সাথে সহজ সড়ক ও রেল যোগাযোগ এই হাওরের পর্যটন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ছোট ছোট নৌকা কিংবা বড় নৌকা নিয়ে ১০-৩০ জন অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারবেন এই হাওরে। নৌকার আকার অনুযায়ী ভাড়া ৩০০-৯০০ টাকা হতে পারে ঘন্টাপ্রতি।
নিকলী হাওর ভ্রমনের উপযুক্ত সময়
হাওরের প্রকৃত সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চাইলে বর্ষাকালে অর্থাৎ জুন-সেপ্টেম্বর মাসে যাওয়াই উত্তম। এছাড়া যেকোনো সময়েই আপনি হাওরের মাছ আর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যেতে পারবেন।
যেভাবে যাবেন নিকলী হাওর
ঢাকা কিংবা কিশোরগঞ্জের আশেপাশে থাকলে একদিনেই ঘুরে আসা সম্ভব নিকলী হাওর। এছাড়াও দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ট্রেন কিংবা বাসযোগে এসে নিকলী হাওর এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করা সম্ভব। কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সিএনজি স্টেশন থেকে সিএনজি নিয়ে নিকলী হাওর যেতে ১ঘন্টা এর মত সময় লাগবে। লোকালে যেতে জনপ্রতি ৭০ টাকা এবং রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে ৩৫০-৪০০টাকা লাগে।
যেখানে থাকবেন
নিকলীতে কোনো ভালো মানের পর্যটকবান্ধব আবাসিক হোটেল না থাকায় আপনাকে চেয়ারম্যান গেস্ট হাউস কিংবা উপজেলা ডাক বাংলো তে গিয়ে থাকতে হবে। এছাড়া জেলা সদরে থাকা হোটেলেও থাকতে পারবেন।